আগে থেকেই মনে হতো, বাংলাদেশের কোনো সভ্য নাগরিকের সত্যিকারের জন্মদিন ১৫ আগস্ট হলেও তার আনুষ্ঠানিকতা থেকে দুরে থাকা উচিৎ, আর তাও না পারলে অন্তত, ঘরোয়াভাবে আপনজনদের নিয়ে জন্মদিন পালন করা উচিত। অথচ আমাদের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কয়েকটি জন্মদিন নিবন্ধিত থাকার পরও, জাতীয় শোক দিবসে তাঁর জন্মদিন পালন করেন, ঘটা করে। শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতার কাউন্টার প্রোগ্রাম হিসেবে এ আনুষ্ঠানিকতা, এটা বুঝতে খুব একটা জ্ঞানী-গুণি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এবার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ঐক্যমঞ্চ নামের একটি প্লাটফর্ম থেকে খালেদা জিয়াকে শোক দিবসে জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দেখুন মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা হয়তো এ আহ্বানের দিকে কর্ণপাতও করবেন না, বিশেষ করে তার দলের কিছু অত্যুৎসাহী পা-চাটা ব্যক্তি হয়তো এবারও জমকালো জন্মদিনের আয়োজন করবে। জন্মদিন পালনের আনন্দ সংগীত বাজাবে, শোক দিবস পালনের মাইকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। আমাদের মতো আমজনতা তো আর কিছু করতে পারবো না, তাই ধিক্কার জানাচ্ছি এই অশুভ আনুষ্ঠানিকতাকে।