পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কিছুই করতে না পেরে ধিক্কার জানালাম

আগে থেকেই মনে হতো, বাংলাদেশের কোনো সভ্য নাগরিকের সত্যিকারের জন্মদিন ১৫ আগস্ট হলেও তার আনুষ্ঠানিকতা থেকে দুরে থাকা উচিৎ, আর তাও না পারলে অন্তত, ঘরোয়াভাবে আপনজনদের নিয়ে জন্মদিন পালন করা উচিত। অথচ আমাদের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কয়েকটি জন্মদিন নিবন্ধিত থাকার পরও, জাতীয় শোক দিবসে তাঁর জন্মদিন পালন করেন, ঘটা করে। শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতার কাউন্টার প্রোগ্রাম হিসেবে এ আনুষ্ঠানিকতা, এটা বুঝতে খুব একটা জ্ঞানী-গুণি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এবার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ঐক্যমঞ্চ নামের একটি প্লাটফর্ম থেকে খালেদা জিয়াকে শোক দিবসে জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দেখুন মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা হয়তো এ আহ্বানের দিকে কর্ণপাতও করবেন না, বিশেষ করে তার দলের কিছু অত্যুৎসাহী পা-চাটা ব্যক্তি হয়তো এবারও জমকালো জন্মদিনের আয়োজন করবে। জন্মদিন পালনের আনন্দ সংগীত বাজাবে, শোক দিবস পালনের মাইকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। আমাদের মতো আমজনতা তো আর কিছু করতে পারবো না, তাই ধিক্কার জানাচ্ছি এই অশুভ আনুষ্ঠানিকতাকে।

বিশ্বকবির জীবন ও সাহিত্য

ছবি
বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ পার্থিব জগতের মায়া কাটিয়ে পরপারে পাড়ি জমান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।  এই সেই জোড়াসাকোঁর ঠাকুরবাড়ি (বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন)     ১৪১৯ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ  কবিগুরুর ৭১তম প্রয়াণ দিবসে  কালজয়ী এই মহাপুরুষের স্মরণে দেয়া হয় এই পোস্টটি।  স্ত্রী ভবতারিণীর (মৃণালিনী দেবী) সঙ্গে সদ্যোবিবাহিত রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর ১৯১২ সালে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডে রবীন্দ্রনাথ  কবিগুরুর শেষজীবনে (১৯৩০) কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, এখানে জীবনের একটা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন কবি।   এখানে কবিগুরু  বেশকিছু লেখালেখি করেছেন। এখানেই রচনা করেছেন নোবেলজয়ী গীতাঞ্জলি ।        একাধারে কবি , ঔপন্যাসিক , সংগীতস্রষ্টা , নাট্যকার , চিত্রকর , ছোটগল্পকার , প্রাবন্ধিক , অভিনেতা , কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার জয় করেন । তার গীতাঞ্জলী কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের পর এ সাহিত্...

ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি হলো, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় একটা অগ্রগতি

ছবি
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন শুরু করা এই ব্লগপোস্টটিতে একটা আপডেট এলো। করোনা আতঙ্ক চলাকালে ক্যাপ্টেন মাজেদ বিদেশ থেকে চলে এলো দেশে। ধরা পড়লো। আজ ৯ এপ্রিল তার আবেদন প্রেসিডেন্টের ক্ষমার ফর্মালিটিতে। কিন্তু কোথা থেকে ফিরলো ঘাতক মাজেদ। অনলাইন অফলাইন তথ্যের ভিত্তিতে লেখা এই পোস্টেদেখলাম পরে অন্য মিডিয়ায় দেখলাম, জানলাম ক্যাপ্টেন মাজেদ কিভাবে সেনেগাল থেকে এলো বুঝা গেল না, কেননা, মিডিয়ায় যদ্দূর জানা গেল, মাজেদ দেশে ঢুকেছে ভারত হয়ে।                        ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় ৫মে,২০২০। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর অন্য সব খুনির সঙ্গে আবদুল মাজেদ প্রথমে লিবিয়ায় চলে যান। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাঁকে সেনেগাল দূতাবাসে চাকরি দেন। ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে আসার পর তিনি বিআইডব্লিউটিসিতে যোগ দেন। সে সময় উপসচিব পদমর্যাদায় তিনি চাকরি করেন। পরে তিনি যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পরিচালক পদে যোগ দেন। ইতিপূর্বেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ব...