হরতাল এখন আর শুধু মানুষকে তার কাজ ও যাতায়াত বন্ধ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন হরতাল মানেই পুড়াও বাস, হত্যা করো নিরীহ যাত্রীদের।
গতকাল ২১ এপ্রিল, খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালের সামনে ঈগল পরিবহরেন একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পুড়ে মারা যান বাসটির চালক বদর আলী বেগ। হতভাগ্য ওই ঢাকা-খুলনা রুটের নাইটকোচের ড্রাইভার, রাতে যাত্রী নিয়ে যাবেন তাই ঘুমাচ্ছিলেন গাড়িতে, আর তাতে সন্ত্রাসীরা দেয় আগুন।
এছাড়াও, রাজধানীতে আরো ৭টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে শনিবার।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা নেই এসবের শেষ কোথায়...........
রোববারের হরতাল পালিত হলো, দিনশেষে ইলিয়াস আলীর নিখোজের ঘটনায় আহূত হরতাল একদিন বর্ধিত করার ঘোষণা এলো বিএনপির পক্ষ থেকে।
ব্যাস, হরতালের ঘোষণা এলে তো আগের সন্ধ্যায় অগ্নিসংযোগ করতেই হয়। তাই করা হলো, এবারে একটু যেন কম...
হরতালের প্রথম দিন, অর্থাৎ রোবরার ছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন। একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেল পরীক্ষার্থীরা, বোর্ড জানাল প্রথমদিনের পরীক্ষা স্থগিত।
পরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো শিক্ষার্থীরা, সেটিও স্থগিত হয়ে গেলো।
বুঝেন ওদের মানসিক অবস্থা........
চলতে থাক, এভাবেই চলতে থাক, ক্রমেই সব বাড়তে থাক। সাধারণ মানুষের জবাবদিহি চাওয়ার কথা, রাজনীতিবিদদেরও জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি দেয়ার কথা। জবাবদিহি করতে করতে রাজনীতিবিদরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তাই আর জবাবদিহিতার বালাইও রাখেননি। জনগণ জবাবদিহি হয়তো চায়নি।
যদি চায়?
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন