বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাংক, যেগুলো আজো টিকে আছে স্বমহিমায়
ব্যাংকিং ইতিহাসের শুরুটা হয়েছিল সেই খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সালের দিকে। যদিও বলা হয়ে থাকে মূদ্রার প্রচলনের ইতিহাসের সাথে সাথেই সূত্রপাত ব্যাংকিং ইতিহাসের। আর মূদ্রা আবিষ্কারের নিদর্শন পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৯০০০ সালের দিকে। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের জন্য প্রাচীনকালেই শস্যের ওপর ঋণ দেওয়া শুরু হয়, আর এভাবেই তৈরি হয় ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস। প্রথমে আসিরিয়া ও ব্যবিলনিয়া, আর তার পরপরই প্রাচীন গ্রীস ও রোমান সাম্রাজ্যে প্রথম ব্যাংকিংয়ের প্রচলন হয়। উপাসনালয়কে কেন্দ্র করে ঋণ দেওয়া শুরু হয়। তখন ধর্মযাজকরা ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতো আর মুনাফা যেতো জনহিতকর কাজে।
কাছাকাছি সময়ের ভারত ও চীনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনেও আর্থিক ঋণ কার্যক্রমের নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতে বৈদিক আমলে (খ্রিষ্টপূর্ব ১৭৫০ সাল থেকে শুরু) ঋণ দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মৌর্য রাজত্বকালে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩২১ থেকে ১৮৫) আদেশা নামে একটি জিনিস ব্যবহৃত হতো, যার ভিত্তিতে কাউকে অর্থ দেয়া হতো যা এখনকার বিল অব এক্সচেঞ্জের সঙ্গে মিলে যায়। প্রাচীন চীনে কিন রাজত্বকালে(খ্রিষ্টপূর্ব ২২১ থেকে ২০৬) বিভিন্ন মানের মূদ্রার প্রচলন হয়। যা চীনজুড়ে ব্যবসা বাণিজ্য সহজ করে তোলে আর ঠিক পরপরই ঋণের কাগজপত্রের প্রচলন শুরু হয়ে যায়। মিশর ও মেসোপটেমিয়াতেও খ্রিষ্টপূর্ব ২ হাজার বছরের কাছাকাছি সময়ে উপাসনালয়ে স্বর্ণ সঞ্চয় রাখা হতো বলে জানা যায়। ব্যবিলনের হাম্মুরাবির সময়ের নিদর্শনে অর্থাৎ খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টাদশ শতকে ধর্মযাজকদের ঋণ দেয়ার রেকর্ড আছে।
কিন্ত বিশ্বের প্রায় সব আকারের বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কিছু ব্যাংক গৃহযুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধ আর অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়েও তাদের কার্যক্রম অক্ষুন্ন রেখেছে, যেগুলো নিয়েই এই লেখাটি। ইতালির যে ব্যাংকটি এখন বিশ্বের প্রথম ব্যাংক হিসেবে স্বমহিমায় টিকে আছে তার প্রতিষ্ঠা ১৪৭২ সালে মানে আজ থেকে ৫৪০ বছর আগে। যদিও ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস ৪ হাজার বছরের পুরাতন।
বিশ্বের এযাবৎ টিকে সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাংকের একটি তালিকা দেওয়া হলো
প্রতিষ্ঠাকাল নাম দেশ
১৪৭২ বাঙ্কা মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা ইতালি
১৫৯০ বেরেনবার্গ ব্যাংক জার্মানি
১৬৬৮ সুইডিশ রিকসব্যাংক সুইডেন
১৬৭২ সি হোয়ার এন্ড কোং যুক্তরাজ্য
১৬৭৪ মেট্জলার ব্যাংক জার্মানি
১৬৯০ বারক্লেজ যুক্তরাজ্য
১৬৯২ কোটস যুক্তরাজ্য
১৬৯৪ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড যুক্তরাজ্য
১৬৯৫ ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্য
১৭১৭ বাঙ্কো এচেভারিয়া স্পেন
১৭২৭ রয়্যাল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্য
১৭৩৭ ভ্যান ল্যান্সচট নেদারল্যান্ডস
১৭৪১ ওয়েজেলিন এন্ড কোং সুইজারল্যান্ড
১৭৫৫ বাংক লিউ সুইজারল্যান্ড
১৭৬০ বাংক কুর্তোইস ফ্রান্স
১৭৬৫ লয়েডস যুক্তরাজ্য
১৭৮০ ল্যানডল্ট অ্যান্ড সাই সুইজারল্যান্ড
১৭৮৩ ব্যাংক অব আয়ারল্যান্ড আয়ারল্যান্ড
১৭৮৪ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র
১৭৮৫ ট্রিংকাউস এন্ড বারখার্ডট জার্মানি
১৭৮৭ লা রোচ এন্ড কোং সুইজারল্যান্ড
১৭৯২ স্টেট স্ট্রিট কর্পোরেশন যুক্তরাষ্ট্র
১৭৯৬ হাউক এন্ড আউফহজার জার্মানি
১৭৯৬ লম্বার্ড ওডিয়ের এন্ড সাই সুইজারল্যান্ড
১৭৯৮ ডনার এন্ড রেচেল জার্মানি
১৭৯৯ জেপি মরগ্যান চেজ যুক্তরাষ্ট্র
ওপরের এই তালিকা থেকে সহজেই বলা যায় ব্যাংকিং ব্যাবস্থার প্রাথমিক উৎকর্ষ হয়েছিল ইউরোপে। এসব প্রাচীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ব্যাংক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আসা যাক-
বিশ্বের প্রথম ব্যাংক ইতালির বাঙ্কা মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা
Banca Monte dei Paschi di Siena
ইতালির সিয়েনায় ১৪৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাংক মন্টে ডেই পাসচি। সত্যিকার অর্থে গরীবদের সাহায্যার্থে ঋণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু এই ব্যাংকটির। ইতালিয় ভাষায় মন্টে ডেই পাসচি মানে হলো অর্থসাহায্যের কোষাগার আর ব্যাংকটি আসলেই নগরের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ব্যাংকটি মধ্যযুগীয় ব্যবসায় ও ব্যাংকিংয়ের ঐতিহ্য ধরে রেখে আদর্শ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সিয়েনার কোষাগারের অর্থে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি এখন বিশ্বে টিকে থাকা সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাংক, সারা ইটালিজুড়ে বিস্তৃত ব্যাংকটি বর্তমানে দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। বর্তমান ইটালিতেও এটি খুব প্রাধান্যশীল একটি ব্যাংক, অতীত গৌরব আর আধুনিকতার মিশ্রণে দেশটির একটি গর্বিত ব্যাংক মন্টে ডেই পাসচি। ইটালির পুজিবাজারের সিংহভাগই এই ব্যাংকের অনুকূলে। ফন্ডাজিওন মন্টে ডেই পাসচি ডি সিয়েনা হলেন এই ব্যাংকের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। বর্তমানে এই ব্যাংকটির প্রায় ৩ হাজার শাখা, ৩৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আর ৪৫ লাখ গ্রাহক রয়েছে ইটালিতে। এছাড়াও দেশের বাইরেও রয়েছে শাখা ও বাণিজ্য। এই ব্যাংকের ওয়েবসাইট: english.mps.it
জার্মানির হ্যামবুর্গে ১৫৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেরেনবার্গ ব্যাংক। হ্যান্স ও পল বেরেনবার্গ নামের দুই ভাই হ্যামবুর্গে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এটি জার্মানির প্রথম এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংক। এটি এখনো জার্মানির সবচেয়ে পুরাতন ও প্রাধান্যশীল ব্যাংক, যার সম্পদ আছে ২৬ বিলিয়ন ইউরোর, বাজারে বিনিয়োগ আছে ২১৭ মিলিয়ন ইউরো আর নিয়োজিত জনবল আছে ১১০০। শুধু জার্মানিতেই নয় পুরো ইউরোপেরই প্রধান ব্যাংকগুলোর একটি এই বেরেনবার্গ ব্যাংক। হ্যামবুর্গ শহরের অর্থণৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়ার সময়টাতে একটি ভালো ওলন্দাজ গ্রুপের সঙ্গে ব্যবসা করে বিপুল অর্থ উপার্জনের পর গড়ে তুলেছিলেন। এটি জার্মানির ব্যাংক এবং পুরো ইউরোপজুড়ে যার অফিস রয়েছে। বেরেনবার্গ ব্যাংকের ওয়েবসাইট: Berenberg.de
সুইডিশ রিকসব্যাংক হচ্ছে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১৬৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সুইডেনের এই ব্যাংকটি বিশ্বের প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর এখনো টিকে থাকা বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম ব্যাংক। এটিকে সুইডিশ ন্যাশনাল ব্যাংক বা ব্যাংক অব সুইডেনও বলা হয়। তবে কোনোভাবেই সুইডব্যাংকের (Swedbank) সাথে একে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। সুইড ব্যাংক সুইডেনের আরেকটি নিয়মিত ব্যাংক। ১৬৬৮ সালে রিকসব্যাংক কাজ শুরু করলেও এর পূর্বসূরী হচ্ছে স্টকহোমস ব্যাংকো, যেটি ব্যাংক অব পামস্ট্রাচ নামেও পরিচিত ছিল, যেটি জোহান পামস্ট্রাচ ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৬৫৬ সালে। যদিও আগেও ব্যাংকটির সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতেন রাজা। এক চিঠিতে পামস্ট্রাচকে রাজা ব্যাংকটিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক হিসেবে পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং তারপর থেকেই প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কাজ শুরু করে এটি। সুইডিশ রিকসব্যাংকের ওয়েব অ্যাড্রেস: http://www.riksbank.se
ইংল্যান্ডের লন্ডনে ১৬৭২ সালে স্যার রিচার্ড হোয়ার স্বর্ণকার বা ব্যাংকারের লাইসেন্স নিয়ে ব্যাংকিং ব্যাবসা শুরু করেন। সি. হোয়ার এন্ড কোং নামের এই ব্যাংকটি এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সবচেয়ে বড় স্বাধীন ব্যাক্তি মালিকানাধীন ব্যাংক। ১৭শ’ আর ১৮শ’ শতকে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিমালিকানাধীন সঞ্চয় গ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সি. হোয়ার এন্ড কোং- ই একমাত্র ব্যাংক যেটি এখনো টিকে আছে। এটি পুরোপুরি রিচার্ড হোয়ারের পারিবারিক মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত এবং এখন পর্যন্ত তার সরাসরি বংশধরদের দ্বারা পরিচালিত। লক্ষ্য হিসেবে ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে, অন্যদের কাছে আমরা যেমন সেবা চাই তেমন সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। এই ব্যাংকের ওয়েবসাইট: www.hoaresbank.co.uk
দি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বিশ্বের অষ্টম প্রাচীন ব্যাংক আর দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৯৪ সালে। এই ব্যাংকের আদলেই প্রতিষ্ঠিত আধুনিক বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এই ব্যাংকটি ১৬৯৪ সালে ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৪৬ সালে জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত ব্যক্তি মালিকানায়ই পরিচালিত হয়। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ব্যাংকের ওয়েবসাইট: www.bankofengland.co.uk
স্কটল্যান্ডের এডিনবরাতে ১৬৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংক অব স্কটল্যান্ড। স্কটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন পাশের মধ্য দিয়ে ব্যাংকটির গভর্ণর ও কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা ১৬৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ১৭২৭ সালে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যাংক দি রয়্যাল ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডের প্রতিষ্ঠার পর পড়ে যায় প্রতিযোগিতার মধ্যে। অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে প্রতিযোগিতার উর্ধ্বে উঠে যায় ব্যাংকটি। পুরো স্কটল্যান্ডজুড়ে যখন একের পর এক নতুন ব্যাংক থোলার হিড়িক, ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড তখন দেশজুড়ে শাখা খোলায় ব্যস্ত। ১৮৬৫তে এসে এটি লন্ডনে শাখা খোলে আর ব্যাংকিংয়ে অনন্য একটি নাম হয়ে ওঠে। ১৯৫০ এর দশকে ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে মার্জার করে এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেয়। একীভূতকরণের চলমান প্রক্রিয়াটির শেষ ২০০১ সালে হ্যালিফ্যাক্সের সাথে মার্জার দিয়ে। এরপর থেকে এটি হ্যালিফ্যাক্স বাংক অব স্কটল্যান্ড নামে পরিচিত। ব্যাংকটির ওয়েবসাইট: www.bankofscotland.co.uk
সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাংক এবং বিশ্বের ১৩তম প্রাচীন ব্যাংক ওয়েজেলিন এন্ড কোং প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৪১ সালে। গত ৪ জানুয়ারি ২০১৩ প্রাচীন এই ব্যাংকটি নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে কর ফাকির একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে স্থায়ীভাবে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। ওয়েজেলিন ব্যাংকের ওয়েবসাইট: www.wegelinco.ch
ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (এখন ব্যাংক অব নিউইয়র্ক মেলন)
Bank of New York (now Bank of New York Mellon)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ব্যাংক হিসেবে ব্যাংক অব নিউইয়র্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮৪ সালে। জর্জ ওয়াশিংটনের প্রশাসনের ট্রেজারি সেক্রেটারি ওই প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতির পুরোধা আলেক্সান্ডার হ্যামিলটন ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের গঠনতন্ত্র রচনা করেন আর এর সাথে সবচেয়ে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। প্রাথমিক ধাপটায় পুরো দিকনির্দেশনাও দেন তিনিই। তারপর দীর্ঘ পথ চলা। ২০০৭ সালে মার্জার হয় মেলন ফিন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনের সঙ্গে আর হয়ে যায় ব্যাংক অব নিউইয়র্ক মেলন। ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক মেলনের ২২৫ বছর পুর্তিতে ব্যাংকটি ৫ খন্ডের একটি ভিডিও সিরিজ তৈরি করেছে। নিউ ইয়র্ক মেলন ব্যাংকের ওয়েবসাইট: BNYMellon.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আমার কথা ভালো লাগবে এমন নাও হতে পারে
ভালো না লাগলে কী ও কেন ভালো লাগেনি
উল্লেখ করে কমেন্ট করুন
আর ভালো লাগলে তো জানাতেই পারেন